নিজস্ব প্রতিবেদক: শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ।
কোরবানির গরু কিনতেই একটু আগেভাগে বাড়ি ফিরছেন তারা। সকাল থেকে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে ছিল যাত্রীদের ভিড়। প্রতিটি ট্রেনেই রয়েছে উপচে পড়া ভিড়। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও কালোবাজারি ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে ১১টি ট্রেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে। এছাড়াও আরও তিনটি ট্রেন ছেড়ে যাবে।
অতিরিক্ত মানুষের চাপে ট্রেনের সিটে বসা নিয়ে অনেকে পড়েছেন ভোগান্তিতে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সূচি বিপর্যয় হয়নি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে ট্রেনে ঘরমুখো মানুষের ঈদ যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে করতে প্রায় প্রতিদিনই রেলওয়ে স্টেশনে তদারকিতে আসেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার দুপুর থেকেই সব পথে যাত্রীর চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় এ বছর বেশি মানুষ ঈদের আনন্দ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে গ্রামে যাচ্ছেন।
ঈদে ঘরমুখী মানুষ ও গাড়ির চাপ বাড়ায় মহাসড়কে ভোর থেকেই যানবাহনের ধীরগতি। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে থেমে থেমে যানজট।
এছাড়া যেখানে সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ ইউটার্ন, ওভারটেকিং প্রবণতা থাকায় মহাসড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই ট্রেনের যাত্রাকে বেঁচে নেন বেশিরভাগ যাত্রীরা।
জানা গেছে, সকাল ৭টায় সুবর্ণ এক্সপ্রেস, ৭টা ২০ মিনিটে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস, ৭টা ৪০ মিনিটে সাগরিকা এক্সপ্রেস, ৮টা ৩০ মিনিটে চট্টলা এক্সপ্রেস, ৯টায় বিজয় এক্সপ্রেস, ১০টায় কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস বেলা সাড়ে ১২টায়, মহানগর গোধূলী বিকেল ৩টায়. ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস বিকেল সাড়ে ৩টা, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস বিকেল ৫টা ও মেঘনা এক্সপ্রেস বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে গেছে। এছাড়াও রাত ৯টা ১৫ মিনিটে উদয়ন এক্সপ্রেস, ১০টা ৩০ মিনিটে ঢাকা মেইল ও ১১ টায় তুর্ণা নিশিতা ছেড়ে যাবে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জাফর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে কাল থেকে স্পেশাল ট্রেন ছেড়ে যাবে। রাত ১১টা পর্যন্ত সারাদিনে আজ ১১টি আন্তঃনগর ট্রেন ছেড়ে যাবে।
এদিকে সড়কপথেও বেড়েছে যাত্রীর চাপ।