প্রেস বিজ্ঞপ্তি: অমিতাভ’র দুই দশক পূর্তি উৎসব উদযাপনকে উপলক্ষ করে চট্টগ্রাম নগরীর থিয়েটার ইন্স্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) গ্যালারীতে দু’দিনব্যাপী কর্মসূচির ১ম দিনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেশের বিশিষ্ট ১০জনকে ‘পথিকৃৎ’ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
পথিকৃৎ’ সম্মাননায় ভূষিত হন রিফাত মোস্তফা টিনা (নির্মাতা ও প্রযোজক), শতদল বড়ুয়া বিলু (নাট্যচর্চা ও অভিনয়), চিন্ময় বড়ুয়া রিন্টু (তরুণ শিল্পদ্যোক্তা),পীযুষ দস্তিদার (শিল্প নির্দেশক), অনুজ কুমার বড়ুয়া (আলোকচিত্র শিল্পী), শরণ বড়ুয়া (সঙ্গীতশিল্পী), সুলভ চৌধুরী (তরুণ উদ্যোক্তা ও সমাজকর্মী) ও কেমি বড়ুয়া মুক্তা (সমাজ-সদ্ধর্মসেবা)।
চট্টগ্রাম ফটোগ্রাফিক সোসাইটি’র সভাপতি বিশিষ্ট সংগঠক ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত আলোকচিত্র শিল্পী অনুজ কুমার বড়ুয়া আলোকচিত্রের প্রচার, প্রসার, উন্নয়ন ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদানের জন্য সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা অমিতাভ কর্তৃক ‘পথিকৃত’ সন্মানায় ভূষিত হয়েছেন। তিনি ১৯৭৯ সালে এস এস সি ও ১৯৮৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন শেষে দেশে আলোকচিত্র শিল্পের উন্নয়ন, প্রচার, প্রসার ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ তিন দশকেরও অধিক সময় ফটোগ্রাফী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাস্থ থিয়েটার ইন্স্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) গ্যালারীতে অনুষ্টিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক প্রফেসর ড. হরিশংকর জলদাস।
অমিতাভ সম্পাদক ও প্রকাশক শ্যামল চৌধুরীর সভাপতিত্বে উৎসবের ২য় দিনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য আরো ১০ জন ব্যক্তিকে ‘গুণীজন’ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছে_অধ্যাপক শিশির বড়ুয়া (প্রবন্ধ সাহিত্য), ডাঃ মৃদুল কান্তি বড়ুয়া চৌধুরী (সমাজসেবা), এড. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (পরিবেশবিদ), ডাঃ প্রীতি বড়ুয়া (চিকিৎসা সেবা), সাংবাদিক সমীর কান্তি বড়ুয়া (সাংবাদিকতা), বিশ্বজিৎ চৌধুরী (ঔপন্যাসিক), স্থপতি আশিক ইমরান (নগর পরিকল্পনাবিদ), প্রদীপ দেওয়ানজী (নাট্যচর্চা), সুমন বড়ুয়া (সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক অভিবৃদ্ধিতে) ও প্রমা অবন্তী (ওড়িশী নৃত্যচর্চা)।
সম্মাননা প্রদান বিষয়ে অমিতাভ সম্পাদক জানান, সুদীর্ঘ ২০ বছরের পথচলায় কখনো এ ধরনের আয়োজন করা হয়নি। আমরা মনে করতাম সম্মাননা জানানোর মতো এখনো আমাদের অবস্থান তৈরি হয়নি। এবার একবিংশ বছরের দ্বারপ্রান্তে এসে এর গুরুত্ব অনুধাবন করি। তাই সমাজের বিশিষ্ট কয়েকজনকে সম্মাননা জানাতে পেরে অত্যন্ত খুশী এবং তাতে আমরা নিজেরা সম্মানিত হয়েছি। তবে অনেকে হয়তো ভাববেন কেন এতোজনকে সম্মাননা জানানো। আমি বলবো- যেহেতু ২০ বছর অতিক্রম করেছি তাই ২০ জনকে সম্মাননা জানানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছি। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত রাখার অভিমত ব্যক্ত করেন অমিতাভ সম্পাদক ও প্রকাশক শ্যামল চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।