নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার বেসরকারী ক্লিনিকে বিনা চিকিৎসায় গর্ভবতী নারীর মৃত্যুর হয়েছে। পলি হাসপাতাল নামে ঐ ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরিবর্তে একজন বহিরাগত ধাত্রীর পরামর্শে গর্ভের মৃত সন্তান সহ হাসপাতালে ভর্তি করে সারাদিন বিনাচিকিৎসায় ফেলে রাখার অভিযোগ করেছে নিহতের স্বজনরা৷
রোগীর স্বজনরা সিপ্লাসকে জানান, ৯ মাসের গর্ভবতি এক কন্যার জননী স্বপ্না বেগম (২৭) গতকাল (৮ অক্টোবর) দুপুরে এলাকার পরিচিত যাত্রী সালেহার পরামর্শে পাঁচলাইশ পলি ইসপিটালে ভর্তি করা হয়৷ ভর্তির পর থেকেই সালেহা নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে মৃত সন্তান প্রসব করানো হবে বলে জানান৷ এ সময় ক্লিনিক থেকে জানানো হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় করতে হবে৷ ক্লিনিকে ভর্তির পর রোগীর অবস্থা ক্রমাগত অবনতি হতে থাকলেও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শের পরিবর্তে যাত্রী সালেহার কথা মতন নরমাল ডেলিভারীর চেষ্টা করছিলো। একপর্যায়ে রাতে রোগী আর সহ্য করতে না পেরে কর্তব্যরত নার্সের পা ধরে সিজারের মাধ্যমে মৃত বাচ্চা প্রসব করানোর আকুতি জানালেও ক্লিনিক থেকে কোন সাড়া মেলেনি৷ অবস্থা আরো অবনতি হলে সকাল ৮টায় রোগী মারা যায়। এসময় রোগী বেহুস হয়েছে জানিয়ে স্বপ্নাকে চমেক হাসপাতালে নিতে বলে৷ এসময় চিকিৎসা বাবদ বকেয়া টাকাও আদায় করা হয়৷ রোগীকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসব জানান রোগী আরো আগেই মারা গেছে৷
এই বিষয়ে পলি হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ জাহেদ দাবী করেন রোগীর স্বজনদের নিজস্ব কসালটেন্ট দিয়েই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিলো৷ তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সামনেই রোগী স্বজনরা এমন দাবী নাকচ করে দেন৷ এবার বোল পালটে বলা হয় ডাঃ ফেরদৌসি বেগমের পরামর্শেই নাকি রোগীর চিকিৎসা চলছিলো৷ সিপ্লাস টিভি তাৎক্ষনিক সেই চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মারা যাওয়া রোগীকে চিকিৎসা দেননি বলে জানান৷ এবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনেকটা স্বিকার করেন জনৈকা যাত্রীর পরামর্শেই চালানো হচ্ছিলো চিকিৎসা৷
জানা গেছে সিজার করা হলে যাত্রীর আয় হবেনা ভেবে রোগীকে সিজার করতে দেয়া হয়নি৷ তবে রোগীর বাবা ও স্বামী কোন মামলা না করলেও আর কেউ যেনো এভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা না যায় সেই দাবি জানিয়েছে।