আনোয়ারা প্রতিনিধি: আনোয়ারায় ইয়াবা নিয়ে আটকের পর জামিনে বের হয়ে মোহাম্মদ সোহেল (৩০) নামের এক ফল বিক্রেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে মাদক কারবারিরা। এ ঘটনায় গত বুধবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ৫ জনের বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় মামলা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) রাতে চট্টগ্রাম শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের ভরাচর বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত সোহেল উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের ভরাচর এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হামলার শিকার সোহেল চট্টগ্রাম শহরে ভ্রাম্যমান মৌসুমী ফল বিক্রি করে সংসার চালান। তিনি এলাকায় মাদক সেবনকারী ও বখাটেদের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলেন। এর জের ধরে গত সোমবার রাতে ব্যবসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ভরাচর বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌঁছলে ওতপেতে থাকা দুস্কৃতকারীরা সোহেলের ওপর হামলে পড়ে ধারালো কিরিচ দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে সোহেলের শোর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে পরবর্তীতে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় দুস্কৃতকারীরা।
স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহত সোহেলকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।এ ঘটনায় সোহেলের বড়ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে গত বুধবার আনোয়ারা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, বরুমচড়া ভরাচর এলাকার কামাল উদ্দিনের ছেলে মঞ্জুরুল আলম (৩২), মফজল আহমদের ছেলে রেজাউল করিম (২৯), সৈয়দ আহমদের ছেলে ইকবাল হোসেন (৩৩), আহমদ নবীর ছেলে নেজাম উদ্দিন (২৯) ও জামাল হোসেনের ছেলে মো.মনছুর (৩১)।
জানা যায়, অভিযুক্ত ৫জন সহ স্থানীয় গুরা মিয়ার পুত্র জালাল আহমদ(৩২) ও আজিজুল হকের পুত্র এহসান আলী(৩৫) কে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারী ইয়াবা নিয়ে আটক করে পুলিশ। পরে অভিযুক্তরা জামিনে বের হয়। তারা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন, বিক্রি সহ নানান অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে আসছে। ফলে বেপরোয়া হয়ে ওঠে তারা। এদিকে পুলিশের হাতে আটক হয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়। তাদের আটকের পিছনে মোঃ সোহেল জড়িত থাকার সন্দেহের জেরে তাকে কুপানো হয়েছে বলে জানান স্বজনরা।
মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অভিযুক্তরা এলাকার চিহ্নিত মাদক সেবনকারী ও ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। কিছুদিন আগে তারা আটক হয়ে জামিনে বের হয়। আবারও অনৈতিক কাজ শুরু করেছে তারা। তাদেরকে আটকের পিছনে আমার ভাই জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ করেন তারা৷ এর জেরে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি। আমি দুস্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার সেকেন্ড অফিসার শাহিদ হোসাইন বলেন, হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।