সিপ্লাস ডেস্ক: ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হবে জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গ্রেফতার, আক্রমণ করে কেউ গণসমাবেশ রুখতে পারবে না।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু ও সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়নকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সুলতান সালাউদ্দীন টুকু ও নুরুল ইসলাম নয়নকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা রাজশাহীতে বক্তব্য রাখলো অথচ ঢাকায় ফেরার সময় প্রবেশপথে গ্রেফতার করা হলো।
গ্রেফতার করে গণজোয়ার ঠেকানো যাবে না হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, সূর্যের আলো হাত দিয়ে বলো রুখিতে পারে কি কেউ? টুকু-নয়নদের ধরে ঠেকানো যাবে না গণজোয়ারের ঢেউ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে রিজভী বলেন, আপনারা গণগ্রেফতার করছেন, কেন করছেন? কী অন্যায় করেছে আমাদের নেতাকর্মীরা? কেন এই গ্রেফতার অভিযান? আপনারা যে বেতন পান, পরিবার যেটা দিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ হয়, সন্তানরা যে স্কুলে যায়, সেই স্কুলের বেতন দেন সেটা সরকারি বেতনের টাকায়। সরকার বেতন দেয় কোথা থেকে, এটা জনগণের ট্যাক্সের টাকা।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমরা ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ করতে চেয়েছি। এই গণসমাবেশ কীসের জন্য? কিছু দাবির পরিপ্রেক্ষিতে। সমাবেশের জন্য আমরা পল্টনে অনুমতি চেয়েছি, কারণ নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু আপনারা সে কথার গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
অন্যদিকে যুবলীগের কাউন্সিল সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুরো ঢাকা শহর সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। অথচ আমরা বাংলাদেশের বিরোধী দল কর্মসূচি করতে পারবো না। কর্মসূচির আগে সারাদেশে গ্রেফতার অভিযান চলে। এক দেশে দুই আইন চলতে পারে না। আমরা সেটা চলতে দিতে পারি না। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ হবে। এই গণসমাবেশ কেউ রুখতে পারবে না।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।