দেশে একটি কথা প্রচলিত আছে, সরকারী মাল, দরিয়াতে ঢাল…. কিন্তু বাস্তবে সরকারের নিজের কোন টাকা থাকেনা। সবই দেশের জনগনের টাকা৷
নগরীতে নির্মানাধিন বাকলিয়া এক্সেস রোডের এলাইনমেন্টে নির্মিত ১০ তলা ভবনটি কিভাবে কার ভুলে অনুমোদন পেলো আর ১৯৯৫ সালের মাস্টার প্লেনে চিহ্নিত সড়কের জায়গায় ১০ তলা একটি বিল্ডিং এর নির্মান কাজ চলার সময় সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজরদারী কিভাবে এড়িয়ে গেলো এসব চিহ্নিত না করেই রাষ্ট্রের তথা জনগনের ১৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে রফা করার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷
সিডিএ’র ভূমি ও ভবন নকশা অনুমোদনের সাথে যারা জড়িত তাদের দোষ ত্রুটির পাশাপাশি ও ভবন নির্মানের অনুমোদন ও নির্মানের ক্ষেত্রে নির্মানকারী ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের কোন গাফিলতি আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখার উচিত বলে মত দিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টার্নেশনাল বাংলাদেশ ও সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি এডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী৷ তিনি বলেন, “এভাবে যাচাই বাছাই না করে জনগনের অর্থ ব্যয় করা হলে এটা খারাপ নজির সৃষ্টি করবে৷ নিজ স্বার্থের জন্যে যারা সিডিএকে কুক্ষিগত করে রেখেছে তারা চায়বে না সেখানে নতুন লোকবল নিয়োগ হোক৷ যদি আইনি জটিলতা থাকে তাহলে সেই জটিলতা আইনী ভাবে দূরকরার পদ্ধতি আছে।”
সিডিএ’র বোর্ড সদস্যের মতে পুরাতন অর্গানোগ্রাম পালটে নতুন জনবল নিয়োগ করে সিডিএকে ঢেলে সাজানো গেলে দূর্ণীতি অনিয়ম রোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন সিডিএ’র বোর্ড সদস্য এম আর আজিম৷ তিনি সিপ্লাসকে বলেন, জনগনের অর্থ যেনতেন ভাবে খরচ করা যাবেনা। বর্তমান সিডিএ চেয়ারম্যান বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতি সিডিএ’র ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কেউ জবাব দিহীতার উর্ধে নয় বলে জানান এই বোর্ড সদস্য।
এদিকে জানা গেছে বিগত সিডিএ চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালামের আমলেই এই ভবন নির্মানের ঘটনা অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিলো৷ সেই কমিটির অন্যতম সদস্য সিডিএ’র বোর্ড সদস্য, ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন সিপ্লাসকে জানিয়েছেন, জনগনের অর্থ এভাবে গজ্জা দেয়ার জন্যে যে বা যারাই দায়ী তাদের চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবেন৷
সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ সিপ্লাসকে জানিয়েছেন, যেহেতু আগের চেয়ারম্যান (আবদুচ ছালাম) এই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়ে গেছেন তাই সেই কমিটির রিপোর্ট পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ তদন্ত প্রতিবেদনে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিলবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান সিডিএ চেয়ারম্যান৷