রাঙ্গুনিয়ায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক বলেছেন, আমার ছাত্রজীবনে কবিতা আবৃত্তি করে প্রথম পুরস্কার পেয়েছিলাম। সেই থেকে বিদ্যালয়ে কবিতা, উপস্থিত বক্তৃতা, রচনা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক, সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পড়ালেখার পাশাপাশি অংশ নিতাম। এসব প্রতিযোগিতায় আমি অনেক পুরস্কার অর্জন করেছিলাম। এভাবে শিক্ষাজীবনের প্রতিটি ধাপে অংশ নিয়ে মনযোগ দিয়ে পড়ালেখা করে আজ আমি জেলা প্রশাসক। সম্প্রতি জনপ্রশাসন পদকও অর্জন করেছি। এভাবে জীবনের প্রত্যেক স্তরে উদ্যোমি হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
লেখাপড়ার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। মেয়েরা এখন অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের ৮ জন জেলা প্রশাসক আছেন, যারা নারী। শিক্ষার্থীদের সত্যিকারের মানুষের মতো মানুষ করতে হলে জীবনের প্রত্যেক প্রতিযোগিতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে মোকাবেলা করতে হবে। আগামীর সোনার বাংলা গড়তে তোমরাই নেতৃত্ব দেবে। নিজেকে গড়তে হলে ভবিষ্যতের লক্ষ্য স্থির করে অধ্যবসায় করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের ভূমিকা রাখতে হবে। এভাবে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবক ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তবেই দেশ এগিয়ে যাবে, বিশ্বে দেশের মুখ উজ্জ্বল হবে।’
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ও সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান। সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) পূর্বিতা চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খাইরুল বশর মুন্সি, মাস্টার আসলাম খাঁন প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন খেলনা উপকরণ বিতরণ করেন।