চট্টগ্রামে রোহিঙ্গা নারীর জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ ও ডেটা সার্ভারে রোহিঙ্গা সন্দিগ্ধ অর্ধশতাধিক নাগরিকের তথ্য নিবন্ধনের বিষয়ে আগামী সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ের পরিচালক খোরশেদ আলম মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
রমজান বিবি নামে এক রোহিঙ্গা নারী লাকী নাম নিয়ে ভুয়া ঠিকানা দিয়ে তৈরি করে জাতীয় পরিচয়পত্র নেন। গত ২০ অগাস্ট ওই নারীর পাসপোর্ট আবেদনের তথ্য যাচাই করতে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রে বড় ধরনের জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের তদন্তে।
এরপরই নির্বাচন কমিশন তৎপর হয় ও তদন্তে নামে। রোহিঙ্গা নারীর এনআইডি জালিয়াতি যাচাই করতে গিয়ে নতুনভাবে ভোটার হতে নিবন্ধিত আরও অর্ধশতাধিকের তথ্য ধরা পড়ে ইসির মাঠ পর্যায়ে। তাদেরকে এনআইডি দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।
ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, ইসির তদন্ত দল ও কারিগরি দলের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
এই রমজান বিবি ‘লাকি’ নাম নিয়ে এনআইডি করে ধরা পড়েছেন, তার সঙ্গে আরেকজনকেও আটক করা হয়
তদন্ত কমিটির প্রধান খোরশেদ আলম জানান, এ জালিয়াতির সঙ্গে কারা জড়িত, তথ্য সংগ্রহ থেকে নিবন্ধন পযন্ত কার্যক্রম কীভাবে হয়েছে, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী সংশ্লিষ্ট, নাকি অন্যদের যোগসাজশ রয়েছে, তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।
“পুরো বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। ভেতরে-বাইরের কারা জড়িত তা এখনও বলার সময় আসেনি। আমরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে বিষয়গুলো নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। এখন কিছু বলব না। আশা করছি, আগামী সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে পারব।”
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান বলেন, “কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্ত দল কাজ করেছে এবং প্রতিবেদনও তৈরি করেছে। আমরা এ নিয়ে এখন কিছু জানি না।”
কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকাভুক্ত হয়ে স্মার্ট কার্ড পাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রামে ইসির সার্ভারে বেশ কিছু নাগরিকদের তথ্যেও অসঙ্গতি ধরা পড়ে।