রোহিঙ্গাদের বাসা ভাড়া না দিতে দোহাজারী তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের কঠোর হুঁশিয়ারী

দোহাজারী তদন্ত কেন্দ্র
CPLUSTV
CTG NEWS
CPLUSTV
শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভা এলাকায় বসবাসরত ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের লক্ষে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভাড়াটিয়া তথ্য ফরম বিতরণ করছেন দোহাজারী তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের একটি টিম।

শুক্রবার বিকেলে দোহাজারী পৌরসভা সদরে মোঃ আলী, তাসমিন, আবু নাইম, আবুল হোসেন, আবুল কাসেম, জামাল হোসেন, আব্দুস সালাম ও দিল মোহাম্মদ কলোনীতে গিয়ে বাড়ি মালিকদের হাতে ভাড়াটিয়া তথ্য ফরম বিতরণ করেন দোহাজারী তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আতিকুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স।

গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) থেকে তথ্য ফরম বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ডে এই ফরম বিতরণ করা হবে বলে জানা গেছে।

তথ্য ফরমে ভাড়াটিয়ার নাম, পিতা-মাতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা (গ্রাম ও বাড়ির নাম সহ), পেশা, কর্মস্থলের ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, পরিবারের সদস্যদের নাম ও বয়স এবং কর্মের পুর্ণ বিবরণ, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, বাসা ভাড়া নেওয়ার তারিখ, বাড়ি মালিকের নাম ও ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার, স্থানীয় ইউ.পি সদস্যের নাম ও মোবাইল নাম্বার চাওয়া হয়েছে। ভাড়াটিয়ার জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার কর্তৃক সত্যায়িত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং পরিবারের পুরুষ সদস্যদের রঙিন ছবি অবশ্যই জমা দিতে হবে বলে ফরমে উল্লেখ করা হয়েছে।

রোহিঙ্গা/মায়ানমারের নাগরিকদের বাসা ভাড়া দেয়া হলে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে হুঁশিয়ারী দেয়া হয়েছে।

এব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দোহাজারী তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, “দোহাজারী একটি জনবহুল এলাকা। বিভিন্ন স্থানের লোকজন এখানে এসে বসবাস করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করে রাখা জরুরী। সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা দলে দলে শহরমূখী হচ্ছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। রোহিঙ্গাদের যাতে বাসা ভাড়া দেয়া না হয় সেটা নিশ্চিত করতেই আমাদের এই প্রয়াস। রোহিঙ্গাদের জন্য নির্দিষ্ট ক্যাম্পে থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করবেন। কক্সবাজারের নির্দিষ্ট ক্যাম্পেই তাদের গতিবিধি সীমাবদ্ধ থাকবে।

দোহাজারী পৌরসভা এলাকায় বাড়ি মালিকদের আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি যাতে রোহিঙ্গাদের কেউ বাড়ি ভাড়া না দেন। যদি কোন বাড়ি মালিক রোহিঙ্গাদের বাসা ভাড়া দেন তবে ওই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।