রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার পেছনে নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মী জড়িত নয় বলেই নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমের বিশ্বাস।
তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে কারও বিরুদ্ধে প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে নির্বাচনকর্মীদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
আগের দিন চট্টগ্রামের নির্বাচনকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের পর দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরিফ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গাদের এনআইডি কার্ড দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনের কর্মচারী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের যোগসাজশ থাকার বিষয়টি প্রাথমিক তদন্তে এসেছে।
তবে নির্বাচন কমিশনার কবিতা বলেন, নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারি রোহিঙ্গাদের ভোটার করতে বা জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে সহযোগিতা করছে না।
তখন দুদক কর্মকর্তার মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, “দুদকের মাধ্যমে কোনো কিছু প্রমাণ হচ্ছে দেখা গেলে নির্বাচন কমিশনেরও একটা নিজস্ব তদন্ত থাকবে।
“নির্বাচন কমিশন তার নিজের মতো করে তদন্ত করবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে তথ্যপ্রমাণ থাকলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদসহ প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাতে রোহিঙ্গারা সংগ্রহ করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান এই নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, “জন্ম নিবন্ধনসহ সব তথ্য-ডকুমেন্ট তৈরি করে আমাদের কাছে নিয়ে আসা হচ্ছে। আমরা সেগুলো ভেরিফাই করব। কিন্তু যারা সেগুলো দিচ্ছে বা যাদের মাধ্যমে পাচ্ছে এবং যারা আত্মীয় পরিচয় দিচ্ছে তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কবিতা বলেন, ৪৬ জন রোহিঙ্গার তথ্য আমরা ইসি উদ্ধার করেছি। তবে তারা কোন কার্ড পাইনি। এদের আলাদা করে ফেলেছি। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হচ্ছে। যাদের (রোহিঙ্গা) বায়োমেট্রিক আছে তারা কোন ভাবে ভোটার তালিকায় আসতে পারবে না।
তিনি বলেন, সম্প্রতি যেসব পাসপোর্ট ধরা পড়ছে, ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র বের করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে কমিশনের কেউ জড়িত থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।