টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের ‘জাতীয় পরিচয়পত্র’ (এনআইডি) দেয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসার পল্লবী চাকমা বাদী হয়ে মঙ্গলবার ( ১৭ সেপ্টেম্বর) কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন। মামলার সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে নির্বাচন অফিস থেকে ৫ বছর আগে ২০১৪ সালে গায়েব হওয়া একটি ল্যাপটপ ও ৪টি মোবাইল সেট।
জয়নাল জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিনি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের এনআইডি করে দিতেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন : জয়নাল আবেদীনের দুই সহযোগী গাড়িচালক বিজয় দাশ (২৮) ও তার বোন সীমা দাশ ওরফে সুমাইয়া জাহান (৩২), সাগর (৩৭) ও সত্য সুন্দর দে (৩৮)। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে রোহিঙ্গাদের ভোটার করান বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক মো. জয়নাল আবেদিন, গাড়িচালক বিজয় দাশ ও তার বোন সীমা দাশ ওরফে সুমাইয়া আক্তারকে আটক করে সোমবার রাতে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন নির্বাচন কর্মকর্তারা।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং নির্বাচন কমিশন আইনে মামলাটি করা হয়েছে। মামলার ৫ আসামির মধ্যে তিনজন গ্রেফতার আছেন। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চট্টগ্রাম কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ বলেন, মামলাটির তদন্ত করবে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিইউ)। ইতিমধ্যে মামলার নথিপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। সিটিইউর পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়াকে এ মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে।