বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই তরুণী গত এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ ছিলেন উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুর থেকে। পরে তাকে পাওয়া যায় রাজস্থানে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর সময় ওই আইনের ছাত্রী দাবি করেন, এক বছর ধরে তাকে ধর্ষণ করেছেন চিন্ময়ানন্দ। ২৩ বছরের ওই তরুণী এক আইন কলেজে শিক্ষার্থী। ওই কলেজ চালায় চিন্ময়ানন্দের নেতৃত্বাধীন এক বোর্ড।
নির্যাতিত তরুণী জানান, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করায় তিনি দিল্লিতে অভিযোগ জানান। সংবাদমাধ্যমের সামনে ওই তরুণী জানান, স্বামী চিন্ময়ানন্দ আমাকে ধর্ষণ করেছেন ও এক বছর ধরে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, দিল্লি পুলিশ আমার অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছে লোধি রোড থানায়। এবং সেটা শাহজাহানপুর পুলিশের কাছে পাঠিয়েছে, যারা আমার ধর্ষণের অভিযোগ নিতে চায়নি।
সুপ্রিম কোর্ট ওই তরুণীর বক্তব্য শুনেছে বন্ধ ঘরে। এরপর শীর্ষ আদালত একটি বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল বা সিট গঠন করার নির্দেশ দেয় এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করার জন্য।
তরুণী জানাচ্ছেন, সিট আমাকে ১১ ঘণ্টা ধরে প্রশ্ন করেছে। আমি তাদের ধর্ষণের ব্যাপারে বলেছি। তবে তাদের সব বলা সত্ত্বেও তারা চিন্ময়ানন্দকে গ্রেফতার করেনি এখনও পর্যন্ত।
গত ৩০ অগস্ট রাজস্থানে তাকে পাওয়া যায়। এর আগে এক সপ্তাহ তার কোনও খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ হওয়ার আগে তিনি ফেসবুকে পোস্ট দেন, ‘সন্ত সমাজের এক বড় নেতা’ তার মতো বহু মেয়ের জীবন ধ্বংস করেছেন। এবং তাকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। ওই পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে তিনি সাহায্য প্রার্থনা করেন।
সেই সময় তিনি চিন্ময়ানন্দের নাম না করলেও তার বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর সময় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের নামটি বলেও দেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন ওঠে। এরপর উত্তরপ্রদেশের পুলিশ চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হুমকির অভিযোগ দায়ের করে।
সূত্র: এনডিটিভি