নগরীতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিম জালিয়াতি করার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সদরঘাট থানা পুলিশ।
৪ সেপ্টম্বর বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত বাকলিয়া ও রিয়াজউদ্দিন বাজারে টানা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দীন জানান।
তারা হলেন- ফেরদৌস সরোয়ার রবিন (১৮), মিনহাজুল ইসলাম (২৩), মিশু আহমেদ (৩০) ও জাবেদ ইকবাল (৩০)। তাদের কাছ থেকে দেড়শ নিবন্ধিত সিম, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণের একটি ক্যাবল ও তিনটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার বিকেলে বাকলিয়া থানার বলিরহাট এলাকার ব্যবসায়ী মুহাম্মদ ইসমাইল নামে এক ভুক্তভোগী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তার জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ৩০টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। অথচ ইসমাইল ব্যবহার করছিলেন মাত্র চারটি সিম।
ইসমাইলের অভিযোগ তদন্তে নেমে বাকলিয়া থানা পুলিশ জানতে পারে, রবি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির লোকাল এজেন্ট একে খান টেলিকম লিমিটেডে সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ ফেরদৌস সরোয়ার রবিন বিভিন্ন সময় ইসমাইলের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেন।
এরপর ফেরদৌস সরোয়ার রবিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি এসব বিষয় স্বীকার করেন। রবিন ইসমাইলের মতো আরও সাত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সিম রেজিস্ট্রেশন করেছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
পরে রবিনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার রাতে কালামিয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিনহাজুল ইসলাম ও মিশু আহমেদকে গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে রেয়াজউদ্দিন বাজার থেকে জাবেদ ইকবালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান বলেন, আমরা একটি অপরাধী চক্রকে গ্রেপ্তার করেছি, তারা গ্রাহকের অজান্তে আঙুলের ছাপ ও তথ্য সংরক্ষণ করে। তারপর সেগুলো দিয়ে সিম নিবন্ধন করে। এসব সিম প্রতারক চক্রের সদস্যরা চড়া দামে বিক্রি করে। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে আর যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।