কানাডায় পলাতক বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীর বিষয়ে তথ্য দেয়ার ওপর বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। এ রায়ের ফলে নূরকে দেশে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর প্রক্রিয়া আরও তরান্বিত হলো বলে মত মামলার বাদীর। যদিও সাবেক আইনমন্ত্রী বলছেন, কানাডা সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া আদালতের এ আদেশের সুফল মিলবে না।
গত বছর কানাডার কাছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনি নূর চৌধুরীর অবস্থান জানতে চায় বাংলাদেশ। জনস্বার্থ বিবেচনায় তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানায় কানাডা সরকার।
মঙ্গলবার নূর সম্পর্কে বাংলাদেশকে তথ্য দিতে কানাডা সরকারকে আদেশ দিয়েছেন দেশটির অটোয়া অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল আদালত। এতে করে নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরানোর চেষ্টায় বড় অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে করেন মামলার বাদী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
মামলার বাদী ও কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি আজিজুর রহমান প্রিন্স বলেন, আমরা তার তথ্য প্রকাশের অনুমতি চেয়ে মামলা করেছিলাম, তাতে বিজয়ী হয়েছি। ৩০ দিনের মধ্যে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে। যদি আপিলে না টেকে, তারা তাদের মতো ব্যবস্থা নেবে। আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ কি নেব তা আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করে এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে বলতে পারবো। সমন্বয়টা হাইকমিশনের মাধ্যমেই হয়েছে।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলছেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কানাডার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় এখন দরকার সেদেশের সরকারের সদিচ্ছা।
তিনি বলেন, যেসব দেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে সেসব দেশে আসামি ফেরত দিতে চায় না কানাডা। প্রশ্ন হলো, তারা ফেরত দেয়ার জন্য কতটা আন্তরিক। যদি আন্তরিক হয়, যদি তারা চায় যে, একজন খুনিকে দেশে আশ্রয় দেবে না তাহলে নিশ্চয়ই তাদের ফেরত দেয়া উচিৎ।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। নূর চৌধুরী ও রাশেদ চৌধুরীসহ ৬ জন এখনো পলাতক। এর মধ্যে নূর কানাডায় আর রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। বাকিদের অবস্থান এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।