লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও চরম্বা ইউনিয়নের টানা পাঁচ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ বদিউল আলমের ১২তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ মঙ্গলবার।
জানা যায়, মরহুম বদিউল আলম মুত্তিযুদ্ধ চলাকালীন ( প্রথম দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরবর্তীতে সভাপতি ) সময় স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি মুক্তিবাহিনীর তৎকালীন চট্টগ্রামের ১১৭ নম্বর গ্রুপে C-IN-C (SPL) এ,কে,এম, সামসুল আলম এর অধীনে সাতকানিয়া হতে সুদূর কক্সবাজার, কক্সবাজার হতে টেকনাফ এবং টেকনাফ হতে জিঞ্জিরা পর্যন্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন।
স্বাধীনতা পরবর্তীতে তিনি সাতকানিয়া থানা ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। লোহাগাড়া উপজেলার প্রতিষ্ঠালগ্নে প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ( প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম ডাক্তার শফিকুর রহমান ) বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু পরবর্তীকালে আওয়ামী পরিবারের অন্যতম অভিভাবক হিসেবে আবির্ভূত হন। গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘুরে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে প্রাণান্ত চেষ্টা করেন।
উপজেলার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে গড়ে তোলেন নিবিড় আত্মিক সম্পর্ক।
চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সফল ও তার বাবার মতোই জনপ্রিয় (উল্লেখ্য তার পিতা মরহুম অছিউর রহমানও ছিলেন চরম্বা ইউনিয়ন পরিষদের দীর্ঘদিনের নির্বাচিত প্রেসিডেণ্ট তথা চেয়ারম্যান)। নিঃস্বার্থভাবে মানুষের জন্য কাজ করা এই মানুষটির জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ছিল উল্লেখযোগ্য। সেই সময় বিপরীত পরিবেশে রাজনৈতিক জীবন সহজ ছিল না।
আদর্শ ও নীতিতে অটল নিবেদিতপ্রাণ নির্লোভ এই মানুষটি কখনো অর্থ সম্পদ কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেনি বরং নিজের জায়গা দান করে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন হাসপাতাল, পোস্ট অফিস, বোর্ড অফিস, বাজার, মসজিদ সহ অনেক জনহিতকর প্রতিষ্ঠান স্কুল মাদ্রাসাসহ অনেক প্রতিষ্ঠানে জমি দান করেছেন।
লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বেশিদিন সভাপতি থাকা এই মানুষটি তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ( প্রধান অতিথি) লোহাগাড়ায় বিশাল জনসভায় সভাপতিত্ব করেন। ২০০৭ সালের এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছিলেন।
প্রতিবছর আজকের এই দিনে মরহুমের বাসভবনে কোরআন খানী ও বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।