ফটিকছড়ি উপজেলার বাগান বাজারের ত্রিপুরা পল্লীতে হামে আক্রান্ত ১১ শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার ও শনিবার সন্ধ্যায় তাদের সেখানে ভর্তি করা হয়। একদিনের ব্যবধানে ১১ শিশু এ ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসকরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জয়নাল আবেদিন মুহুরী বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন ও শীতের আগমনের সময় হাম ছড়ায়। ছোঁয়াচে হওয়ায় একজন থেকে আরেকজন আক্রান্ত হন। তিনি বলেন, শিশুরা হামে বেশি আক্রান্ত হয় বলে এক বছর থেকে ১৮ মাস বয়সী শিশুকে হাম প্রতিষেধক টিকা নিতে হয়। আক্রান্ত এলাকাটি দুর্গম ত্রিপুরা পল্লী। সেখানে তারা টিকা নিতে অনীহা দেখায়। শুধুমাত্র চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে রোগবালাই কমবে না। এ ব্যাপারে নিজে ও পরিবারের সদস্যদের সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
আক্রান্ত শিশুরা হচ্ছে বিপুল ত্রিপুরা (৭), অঞ্জলী ত্রিপুরা (৯), মেঘনা ত্রিপুরা (১), বিজলী ত্রিপুরা (৭), শিপন কুমার ত্রিপুরা (৫), বিরেন্দ্র ত্রিপুরা (৯), শান্ত ত্রিপুরা (১৩), জিয়ন্ত ত্রিপুরা (৭) দুর্জয় ত্রিপুরা (৯), রবিন্দ্র ত্রিপুরা (১০) এবং সমিন্দ্র ত্রিপুরা (৮)।
তারা সকলে উপজেলার বাগান বাজার ইউনিয়নের পাতাছড়া গ্রামের ত্রিপুরা পল্লীতে বসবাসকারী।
এদিকে, ঘটনার পর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শনিবার সকালে ঘটনাস্থল বাগান বাজারের পাতাছড়া গ্রামের ত্রিপুরা পল্লীতে যান। তারা সেখানে আক্রান্ত আর কোন শিশু রয়েছে কিনা তদন্ত করেন।
ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাক্তার ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, আমাদের মাঠকর্মীর মাধ্যমে হামে আক্রান্ত রোগীর খবর পেয়ে, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সায়েদুল আরেফিন এর ভূজপুর থানার ওসি শেখ আব্দুল্লাহ নেতৃত্বে ত্রিপুরা পল্লী থেকে আমাদের টিম এম্বুলেন্স ও সিএনজিযোগে তাদেরকে ওই গ্রাম থেকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছি। তাদের আলাদাভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকায় হাম প্রতিষেধক টিকা দেয়ার বিষয়েও খোঁজ নেয়া হচ্ছে। তারা এখন মোটামুটি সুস্থ। আগামী বুধবার পর্যন্ত তারা চিকিৎসাধীন থাকবেন।