উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদের নৌকার প্রতিকের প্রার্থী নির্বাচনে জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগ মতামত নেয়নি বলেছেন চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাংসদ প্রফেসর ডঃ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি।
তিনি আজ ৮ সেপ্টেম্বর বিকালে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি এবং পেইজে স্ট্যাটাস দিয়ে এ কথাগুলো বলেন।
তার দেওয়া স্ট্যাটাস সি প্লাস এর দশকেদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
”বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে এর মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আমি চট্টগ্রাম -১৫ ( সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের পরপর দুইবারের সংসদ সদস্য কিন্তু অত্যন্ত দু:খের সাথে লক্ষ্য করছি যে, উপজেলা নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন এর ক্ষেত্রে জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ আমার সাথে মতবিনিময় করার প্রয়োজন ও মনে করেননি। তাদের আচার-আচরণে মনে হয়, আমি বিরোধীদলীয় এমপি। অথচ বাস্তবতা হলো, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মাটি ও মানুষের গতি ও প্রকৃতি আমার চেয়ে ভাল কেউ বুঝবেনা। দীর্ঘ প্রায় তিন যুগ ধরে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মাটি ও মানুষের সাথে আমার গভীর সুম্পর্ক। এ জনপদের প্রতিটি ইঞ্চি মাটিতে আমার পদচিহ্ন আঁকা রয়েছে । আমিই ভাল জানি এ অঞ্চলের কোথায় কী উন্নয়ন করতে হবে এবং এ জন্য যোগ্য মানুষটি কে। অতি সম্প্রতি আমার সম্পূর্ণ অগোচরে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয় দেয়া হয়েছে জনাব এম এ মোতালেব সাহেবকে। অথচ গত ২২ শে আগস্ট সাতকানিয়া রিসোর্টে মহান স্বাধীনতার স্হপতি, বাংলার অবিসংবাদিত নেতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি আমাকে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন বর্তমানে তিনি অসুস্থ ও পারিবারিকভাবে চাপের মুখে রয়েছেন তাই তিনি আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না এবং দলীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিবেন ও অবসরে যাবেন। ঠিক একই কথা তিনি সেদিন জন সম্মুখে বক্তব্যে উপস্থাপন করেছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে দলীয় স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে মতামত দেয়ার এবং মতামত চাওয়ার অধিকার আমার আছে বলে আমি মনে করি কারণ, শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে সাংসদের সাথে বৈঠকে সব সময় তৃণমূলের সাথে সমন্বয় করে এলাকার উন্নয়ন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার কথা বলেন।”