নামাজ পড়ার জন্য ছেলেদের চেয়ার কিনে দিতে বলেছিলেন বৃদ্ধ পিতা নজর আলী (৭৫)। ছেলেরা চেয়ারের পরিবর্তে টুল কিনে দেন। আর সেই টুল নিয়ে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে অন্য মুসল্লির গায়ের উপর পড়ে যান তিনি।
এ নিয়ে বাড়িতে এসে ছেলের সাথে কথা কাটা-কাটি হয়। এতে অভিমান করে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন নজর আলী। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নস্তিপাড়া গ্রামে।
মহেশপুর থানার ওসি (তদন্ত) আমানউল্লা হক জানান, বয়সের ভারে অসুস্থ নজর আলীর দাড়িয়ে নামাজ পড়তে কষ্ট হতো। যে কারণে তার ছেলেদের একটি চেয়ার কিনে দিতে বলেন তিনি। ছেলেরা চেয়ার না কিনে একটি টুল কিনে দেন। টুল নিয়ে গত শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে গ্রামের মসজিদে যান। সেখানে নামাজ আদায় করার সময় টুল থেকে পড়ে যায় পাশের একজন মুসল্লির গায়ের উপর।
পরে তিনি বাড়ীতে আসার পর ছেলেদের সাথে একটু কথা কাটাকাটি হয়। পরে তিনি মনের দুঃখে সন্ধ্যার দিকে নিজের ঘরে গলাই ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। এঘটনায় মহেশপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।