চলতি বছরে একদিনে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে টেকনাফে। গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারের এ উপজেলায় ৪২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
ভাদ্রের শেষ সময়ে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় এমন বৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম।
তিনি মঙ্গলবার বলেন, “এ বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হল টেকনাফে। ২৪ ঘণ্টায় এমন বৃষ্টি আর হয়নি।”
ভারি বৃষ্টির মধ্যে এদিন টেকনাফে পাহাড় ধসে দুই শিশু নিহত হয়; এছাড়া আহত হয়েছে আরও ছয়জন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, টেকনাফে ২০১০ সালের ১৪ জুন ৪৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড রয়েছে। তবে সেপ্টেম্বর মাসে এক দিনে এত বৃষ্টিপাত আগে হয়নি। সেপ্টেম্বরে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের আগের রেকর্ডটি ছিল ১৯৪ মিলিমিটার।
এ বছর আষাঢ়ের শেষ সপ্তাহে ৮ জুলাই সীতাকুণ্ডে একদিনে ২৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড রয়েছে। ২০১৭ সালে ১১ জুন ৩৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল রাঙামাটিতে।
মঙ্গলবার টেকনাফের পর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় কক্সবাজারে ১২৭ মিলিমিটার। এছাড়া কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ৮২ মিলিমিটার এবং নোয়াখালীর মাইজদী কোর্টে ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
এদিন দেশের সব বিভাগের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে।
“বুধবার-বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে,” বলেন আবহাওয়াবিদ শাহীনুল।
আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন জানান, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে বুধবারও চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমি ধস হতে পারে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে। এসময় চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমি ধসের শঙ্কা রয়েছে।