সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম শক্তিশালী টাইফুন ফাসাই রেকর্ড ভাঙা বাতাসের বেগ নিয়ে জাপানে আঘাত হেনেছে।
সোমবার ভোরের আগে রাজধানী টোকিওর পূর্বদিকের চিবা শহরের উপকূল দিয়ে টাইফুনটি স্থলে উঠে আসে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
ঘণ্টায় সর্বোচ্চ একটানা ২০৭ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে ফাসাই ওই উপকূলে আঘাত হানে। এটাই চিবায় আঘাত হানা সর্বোচ্চ গতিবেগের টাইফুন বলে জাপানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে। টাইফুনটি স্থলে উঠে আসার পর ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়।
এ পরিস্থিতিতে টোকিওর দুইটি বিমানবন্দরে ১৩০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়। টোকিওর অনেকগুলো রেললাইন কয়েক ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের বাইরে বের না হতে সতর্ক করে কর্তৃপক্ষগুলো।
তাৎক্ষণিকভাবে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পাঞ্চাশোর্ধ এক নারীকে টোকিওর রাস্তায় শায়িত অবস্থায় পাওয়া যাওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। নিকটবর্তী সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, প্রবল বাতাস তাকে উড়িয়ে নিয়ে একটি ভবনের গায়ে আছড়ে ফেলছে।
গুরুতর আহত বিশোর্ধ্ব এক নারীকে তার বাড়িতে থেকে উদ্ধার করার খবর পাওয়া গেছে। গলফ কোর্সের ভেঙে পড়া বেড়ার ধাতুর থাম তার বাসার একটি অংশে পড়লে সে অংশটি গুড়িয়ে যায়, এ সময় তিনি আঘাত পান।
ছোটখাটো কিছু ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে এবং প্রবল পানির তোড়ে একটি সেতু ভেসে গেছে বলে জানা গেছে। এক পর্যায়ে পুরো কামোগাওয়া শহরসহ প্রায় নয় লাখ ৩০ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছিল বলে এনএইচকে জানিয়েছে।
সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে টাইফুনটি মোড় ঘুরে আবার সাগরের দিকে রওনা হয়েছে। কিন্তু ঝড় চলে গেলেও ভারী বৃষ্টিপাত কয়েক ঘণ্টা ধরে অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষগুলো।
প্রতি বছর চার থেকে পাঁচটি টাইফুন জাপানে আঘাত হানে, কিন্তু সেগুলোর কোনোটিই সাধারণত টোকিওর এত কাছ দিয়ে স্থলে উঠে আসে না। ফাসাই কয়েক বছরের মধ্যে টোকিও এলাকায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন বলে এনএইচকে জানিয়েছে।