খালেদা জিয়ার হাঁটু ও কোমরের ব্যথায় ঘুরপাক খাচ্ছে বিএনপির রাজনীতি- তথ্যমন্ত্রী

CPLUSTV
CTG NEWS
CPLUSTV
শেয়ার করুন

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন খালেদা জিয়ার হাঁটু ও কোমরের ব্যথার মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি। বিএনপি জামায়াত এখন আর রাজনীতিতে নেই। তাদের এখন কাজ কয়েক দিন পরপর বলা খালেদা জিয়ার হাঁটু ও কোমরে ব্যথা, অবস্থা বেশি খারাপ আর বাঁঁচবে না। প্রকৃতপক্ষে তিনি হাটু এবং কোমরের ব্যাথা নিয়েই দুইবার প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলীয় নেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন সারাদেশে মাদক এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তখন মীর্জা ফখরুল নানা ধরনের কথা বলছেন। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে দূর্নীতির বিচার তো করেনি বরং তারা সেই সময় দুর্নীতি আর অনিয়মকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। তারা হাওয়া ভবন নির্মান করে সেখানে আমোদ পূর্তি করার স্থান বানিয়েছিল।হাওয়া ভবন করে সরকারের প্রত্যেক সেক্টর থেকে ১০ শতাংশ কমিশন নির্ধারণ করেছিল। তাদের বোগলের তলায় দূর্নীতির উদ্ভট গন্ধ। আর এই উদ্ভট গন্ধ নিয়ে তারা নাক দিয়ে অন্যের গন্ধ খোজার চেষ্টা করেন। এটা হাস্যকর।

বাঙালির সব অর্জনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের অর্জন জড়িয়ে আছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ রচিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশকে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দিয়েছেন। বাংলাদেশ আজ সাফল্য গাঁথার নাম। শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের রাউজান সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি কাজী আবদুল ওহাবের সভাপতিত্বে ও সচিব আনোয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।

সম্মেলন উদ্বোধন করেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, প্রধান বক্তা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় তখন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৪ শতাংশ। যেটি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৪২ বছরেও আমরা অতিক্রম করতে পারিনি। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর গড়া রেকর্ড আমরা অতিক্রম করতে পেরেছি। যে বছর বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় সে বছর আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছিলাম। সেই বছর আমাদের ১২ হাজার মেট্টিক টন খাদ্যশস্য বেশি উৎপাদন হয়। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ঘোষণা করার আগেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধ কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। গত সাড়ে ১০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার পৃথিবীতে সর্বোচ্চ ৮.১৬ শতাংশ। অথচ পার্শ্ববর্তী ভারতে প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের নিচে, আর পাকিস্তান ৭ শতাংশে ঘুরপাক খাচ্ছে।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলে বাংলাদেশে সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এই এগিয়ে যাওয়া আজ বিশ্বে প্রশংসিত। শুধু প্রশংসা করতে পারে না বিএনপি-জামায়াত।

সম্মেলনের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, সন্ত্রাসের জনপদ রাউজান এখন শান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ পেয়েছি। ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল করছেন প্রধানমন্ত্রী। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছেন তিনি।

সম্মেলনে বক্তব্য দেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, তরুণ রাজনীতিক ফারাজ করিম চৌধুরী।

সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন অধ্যাপক সালসাবিল করিম চৌধুরী।সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বাণী পাঠ করেন রেহানা আফরোজ। সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীমের বাণী পাঠ করেন নাজমা রহমান রুহী।