কাস্টমসে যোগ দিতে এসে তিন তরুণ জানলেন নিয়োগপত্র ভুয়া!

প্রতারণার শিকার তিন তরুণ
CPLUSTV
CTG NEWS
CPLUSTV
শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে চাকরিতে যোগ দিতে এসে তিন তরুণ জানতে পেরেছেন নিয়োগপত্র ‘ভুয়া’।

প্রতারণার শিকার তরুণরা হলেন-লালমনির হাটের, হাতীবান্ধা থানার পূর্ব বেজগ্রামের কৃষ্ণ কান্ত চক্রবর্তীর ছেলে মিলন চক্রবর্তী, সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার বোয়ালিয়া গ্রামের আরিজুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম এবং একই থানার ওফাপুর গ্রামের আকিমুদ্দীনের ছেলেন আব্দুল গফুর।

গফুরকে অফিস সহায়ক পদের এবং বাকি দুইজনকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।

কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিন তরুণ চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের দোতলায় ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা কাস্টম হাউসের কমিশনারের একান্ত সহকারীর কক্ষে ঢুকে কাজে যোগদান করতে আসার বিষয়টি জানান। দেখান ডাকযোগে পাওয়া সেই নিয়োগপত্রগুলো। যেখানে  কাস্টম হাউসের কমিশনার এম ফখরুল আলমের নামীয় সিলসহ ‘জাল’ সই রয়েছে। তারিখ দেওয়া হয়েছে গত ২৬ আগস্টের। ওই কাগজে এনবিআরের স্মারক, বিধিমালা, আইন, এসআরও, বেতন স্কেল ও ৯টি শর্ত উল্লেখ করে ২-১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যোগদানের নির্দেশও রয়েছে।

প্রতারিত হওয়া তরুণদের দাবি-গত ২২ জুন সকালে নগরের আগ্রাবাদ কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ে তারা নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তাদের কাছে প্রবেশপত্রও রয়েছে। ২০১৮ সালের ১০ মে ইস্যু করা প্রবেশপত্রে  ‘জাল’ সই রয়েছে এডিশনাল কমিশনার অব কাস্টমস ড. নাহিদা ফরিদীর। চাকরি নিশ্চিত করার জন্য প্রতারকদের লোকজনকে মোটা অঙ্কের টাকাও দিয়েছেন তারা। প্রতারকরা যথারীতি পুলিশ ভেরিফিকেশন, ডাক্তারি পরীক্ষাসহ সরকারি চাকরির নিয়ম অনুযায়ী সবকিছু করিয়েছেন।

কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার আকবর হোসেন এ বিষয়ে বলেন, জাল সই ও সিল দেওয়া নিয়োগপত্র নিয়ে তিন তরুণ এসেছিলেন কাজে যোগ দিতে। আমাদের ধারণা তারা কোনো চক্রের দ্বারা প্রতারিত হয়েছে। যদি তারা চাকরির জন্য ঘুষ দিয়ে থাকে তবে থানায় মামলা এবং আমাদের লিখিতভাবে অবহিত করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।