কক্সবাজারের পোকখালী উপকূল রক্ষায় ২ লাখ চারা গাছ রোপন

CPLUSTV
CTG NEWS
CPLUSTV
শেয়ার করুন

কক্সবাজার সদরের উপকূলীয় ইউনিয়ন পোকখালীর গোমাতলী উপকূলে ২ লক্ষাধিক চারা গাছ রোপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার(১০ সেপ্টেম্বর) চরাঞ্চলে চারা গাছ রোপন করে কর্মসূচীর শুভ সুচনা করা হয়।ইউনিয়নের পাউবো বেড়িবাঁধের বাহিরে এম আব্দুল্লাহ খাঁনের চিংড়ি ঘেরের উত্তর সীমানা ফুলছড়ি মোহনা হতে সুজার ঘের পর্যন্ত প্রায় ২০০ একর চর এলাকায় এসব চারা গাছ রোপন করে শতাধিক শ্রমিক। স্থানীয় চিংড়ি ঘের মালিক হান্নান মিয়া, ওবাইদুল্লাহ খাঁন হিরুর নেতৃত্বে চারা রোপন কর্মসূচীতে পোকখালী বনবিট কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল ইসলাম সার্বিক তত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করেন।

এসময় বনবিট কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, বেড়িবাঁধের বাইরের চরে প্যারাবন ও বনায়ন ছাড়া অন্য কিছু থাকবেনা। আমরা শুধু বনায়ন চাই। যেটি আমাদের পোকখালী উপকূলীয় বেড়িবাঁধ ও এলাকার মাটি ও মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় টেকসই ভূমিকা পালন করবে ।

তিনি আরো বলেন, এই চর ভূমি সরকারের । সরকার উপকূলবাসীর জীবন ও জীবিকা রক্ষায় বনায়ন সৃজন করার জন্য ঐ চরভূমিতে চারা গাছ রোপন করছে।

ঘের মালিক হান্নান মিয়া বলেন, পুরো পোকখালী-গোমাতলীর প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দার জীবন রক্ষার জন্য এখানে বনবিভাগের প্যারাবন সৃজন সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। প্যারাবন সৃজনই একমাত্র সমাধান। এটার বিকল্প কিছু হতে পারেনা। এটা আমাদের ও ভবিষ্যত প্রজম্ম বেঁচে থাকার অবলম্বন। ঘের মালিক ও চারা গাছ রোপনের একমাত্র উদ্দোক্তা ওবাইদুল্লাহ খাঁন হিরু বলেন, আমরা বিশেষ করে গোমাতলীর তরুণ সমাজ একটু জাগ্রত হলেই খুব অল্প সময়ে উপকূলীয় চরে একটি সুন্দর সবুজ ও প্রকৃতি বান্ধব বনায়ন সৃজন করা সম্ভব। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের একটু সহযোগিতা পেলেই সেখানে বিশাল আকারের বনায়ন সৃজন হবে বলে তিনি দাবী করেন।

স্থানীয়রা বনবিভাগের এ উদ্দোগকে স্বাগত জানিয়ে গোমাতলীর মাটি ও মানুষের জীবন জীবিকা রক্ষায় এবং উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য চরে ম্যানগ্রোভ বাগান সৃজনের কর্মসূচীতে শামিল হওয়ার আহবান জানান।

উল্লেখ্য, চরে রোপনকৃত এলাকায় বন বিভাগের সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে সর্বসাধারণের বিহিঙ্গী জাল বসা,কাকঁড়া আহরন,গরু ছাগল চরণ ও গাছ কাটা সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে।