সিপ্লাস ডেস্ক:বীর মুক্তিযোদ্ধা, গাজীপুরের শ্রমিক নেতা ও আওয়ামী লীগের সাদেক সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হত্যা মামলার চূড়ান্ত বিচার এখনো সম্পন্ন হয়নি। বিচারিক আদালতের রায়ের পরে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ, বাদীপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।
এ মামলা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) এলেও বেশ কয়েকবার বাদ দিয়েছেন আদালত। সর্বশেষ ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি শুনানির জন্য এলেও শুনানি হয়নি। ওইদিন এ মামলায় হাইকোর্টের রায়ে খালাসপ্রাপ্ত ১১ জনের সাজা বাড়ানোর জন্য করা আপিল আবেদন কার্যতালিকা (কজলিস্ট) থেকে বাদ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, মামলাটি শুনানির জন্য প্রথমে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় (কজলিস্ট) ছিল। এ দিন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ শুনানি ৮ সপ্তাহ পিছিয়ে দেন। এরপর ৪ মার্চ মামলাটি আবার কার্যতালিকায় আসে। কিন্তু এ দিন নথি না আসায় শুনানি হয়নি। সেই থেকে বার বার শুনানি পিছিয়েছে।
এরপর মহামারি করোনার প্রকোপের কারণে সবকিছুর সঙ্গে থমকে পড়ে স্বাভাবিক বিচারকাজও। আইনজীবীরা বলছেন, করোনার প্রভাব পড়ে এই মামলাটির ওপরও। প্রায় দুই বছর স্বাভাবিক বিচারকাজ পরিচালিত না হওয়ায় এ মামলায়ও শুনানি হয়নি। সর্বশেষ ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় (কজলিস্ট) ছিল। সেদিন আপিল বিভাগে লেখা হয়, আপাতত কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হলো। এখন লিভ টু আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।এর আগে ২০১৬ সালের ১৫ জুন আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ১১ জনকে খালাস দেন হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৮ জনের মধ্যে ৭ জনের বিচারিক আদালতের দেয়া ফাঁসির সাজা কমেছে এবং বাকি একজনের আগের সাজাই বহাল রয়েছে।এদিকে, মারা যাওয়া দুই আসামির করা আপিলের নিষ্পত্তি করেছেন আদালত। আর মামলার মোট ৩০ আসামির মধ্যে দু’জন বিচারিক আদালতেই খালাস পেয়েছিলেন।চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা ছয়জন হলেন- নুরুল ইসলাম সরকার, নুরুল ইসলাম দিপু (পলাতক), মাহবুবুর রহমান মাহবুব, শহীদুল ইসলাম শিপু, হাফিজ ওরফে কানা হাফিজ ও সোহাগ ওরফে সরু।
মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাতজন হলেন- মোহাম্মদ আলী, সৈয়দ আহমেদ হোসেন মজনু (পলাতক), আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু (পলাতক), রতন মিয়া ওরফে বড় রতন, ছোট জাহাঙ্গীর (পলাতক), আবু সালাম ওরফে সালাম ওমশিউর রহমান ওরফে মশু (পলাতক)। যাবজ্জীবন বহাল থাকা আসামি হলেন নুরুল আমিন।